নাবালকের অস্বাভাবিক মৃত‍্যু ঘিরে চাঞ্চল‍্য বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের এলাকায় , তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ

3rd June 2020 বাঁকুড়া
নাবালকের অস্বাভাবিক মৃত‍্যু ঘিরে চাঞ্চল‍্য বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের এলাকায় , তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  বাড়ি থেকে এক নাাবালকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো | এই ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়ের থানার বন বীরসিংহ গ্রামে । মৃত এর নাম প্রীতম মল্লিক বয়স ১০ বছর | সূত্র মারফত জানতে পারা যায় মৃত ওই নাাবালকের বাবা-মা জেলে রয়েছেন । তারপর থেকেই জেঠুর বাড়িতে থাকতো ওই নাবালক । সকাল  বেলায় জেঠু সবজি বিক্রি করতে হাটে যায় এবং জেঠিমা  স্নান করতে গেলে বাড়ি ফাঁঁকা পেয়ে দোতলার ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয় ওই নাবালক | এরপর জেঠিমা স্নান সেরে বাড়িতে ফিরে এলে প্রথম ঘটনা তার নজরে আসে  । দোতলা ঘর থেকে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় | খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পাত্রসায়ের থানার পুলিশ । এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠায় | মৃত  এর মামাবাড়ির এক আত্মীয় দাবি করেন ওকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে । মৃত্যুর পেছনে কি কারণ রয়েছে তা পুরোদমে তদন্ত করতে শুরু করেছে পাত্রসায়ের থানার পুলিশ |





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।